রেশম ঝাঁপির "তিতলি" দিয়ে যাত্রা শুরু করে ময়ূরপঙ্খীর "তিসাম", এই মুহূর্তে বাংলার প্রতিটি ঘরের বহু চর্চিত নাম সোহিনী গুহ রায়। লক ডাউনের এই দীর্ঘ ছুটিতে আমাদের আজকের আড্ডার সঙ্গী তিনিই।
১।অভিনয়ে কিভাবে আসা?
➧ছোটবেলা থেকে আমি কলকাতায় বড়ো হইনি। আমার হোমটাউন কোচবিহার। ওখানে থেকে আমরা নাচ, গান শিখতাম। সেখান থেকেই নাচের প্রতি আমার ইন্টারেস্ট আসে আর সেটা পর্দায় তুলে ধরার ইচ্ছা হয়। কলকাতায় আসার পরও আমি নাচ শিখেছি,ভারতনাট্যমে বিশারদ করেছি। যেহেতু অভিনয় আর নাচ দুটোতেই এক্সপ্রেশন একটা কমন দিক তাই কলকাতা আসার পর অভিনয়ের প্রতিও ইন্টারেস্ট আসে যেটা কোচবিহারে থাকার সময় সেভাবে অনুভব করিনি। এখানে আসার পর মনে হলো এখানে চান্স নিয়ে দেখি। তার পর ছোট একটা কাজ করি, সেখান থেকেই শুরু।
২। আপনার প্রিয় অভিনেতা কে?
➧এখনকার সময় অনেকেই আছে যাদের ভালো লাগে। টলিউডে আবীর চ্যাটার্জী, প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীকে ভালো লাগে। বলিউডে রণবীর সিং আর দীপিকা পাড়ুকোনকে ভালো লাগে।
৩। এই লক ডাউনের সময় তো সর্বত্র শ্যুটিং বন্ধ। আপনার যারা ফ্যান আছেন, যারা আপনার কাজ ধারাবাহিকভাবে দেখেন, তাদের জন্য কি বার্তা দিতে চান?
➧আমার একটা কাজ খুব তাড়াতাড়িই আসার কথা ছিল। আশা করি লক ডাউনের পরে সেটা দর্শকেরা দেখতে পাবেন। আর এমনিতেও আমরা শ্যুটিং তাড়াতাড়ি শুরু করবো আশা করি। এখন শুধুমাত্র বাড়িতে থেকে সরকারি গাইডলাইন মেনে চলা আর নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ছাড়া আর কোনো উপায়েই নেই। এই পরিস্থিতিতে আমরা সবাই এতটাই হেল্পলেস।
৪। লক ডাউনে সবাই যখন নিজের নিজের হবি গুলো নিয়ে সময় কাটাচ্ছে, সেখানে আপনার হবির বিষয় কিছু বলুন।
➧সেভাবে বলতে গেলে হবি প্রচুর আছে যেগুলো আমি করতে চাই। যেমন লক ডাউন শুরু হতেই প্রচুর রান্না করছিলাম আর সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ারও করেছি। কিন্তু কিছুদিন পরেই মনে হয়েছে রান্নাটা আর করতে ইচ্ছা করছেনা। আসলে রান্না বা ঘরের কাজের ক্ষেত্রে আমি খুব মুডি, মুড হলে আমি এগুলো করতে পারি নাহলে করিনা। যেহেতু ছোটবেলাতে টানা কয়েকবছর (যদিও খুব কম ) আমি আঁকা শিখেছি তাই ছবি আঁকাও আমার একটা হবি যেটা এইসময় করেছি। এছাড়াও আমার বই পড়তে ভালো লাগে। এরকমও অনেক সময় হয় যখন আমি মেকআপ রুমে বসেও বই পড়ি , এতে নিজের মতো করে একলা কিছুটা সময় কাটানো যায়। তাই রান্না আর ছবি আঁকার সাথে সাথে বই পড়া, সিনেমা দেখা, সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় কাটানোও চলছে।
৫। এতদিন লক ডাউনে থেকে সবাই যখন বোর হচ্ছে। সেখানে আপনার কি মনে হয়? কিভাবে এই ব্যাপারটাতে নিজেকে মোটিভেট করা যায়?
➧এই ব্যাপারটা আমিও ব্যক্তিগতভাবে ফেস করেছি। লক ডাউন শুরু হওয়ার সময় মনে হয়েছিল যে বেশ কয়েকদিন ছুটি পাওয়া যাবে।কাজের সূত্রে আমরা হয়তো সবাই এটা চেয়েছি যে একটু ব্রেক পাওয়া ভালো হতো। কিন্তু এখন এই ব্রেকটা একটু খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এই মুহূর্তে যেটা সবথেকে প্রয়োজন সেটা হলো মাইন্ড স্টেবিলাইজ করা, কোনোভাবেই ডেমোটিভেটেড না হওয়া। যারা ডেমোটিভেটেড হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, সোশ্যাল মিডিয়াতে শুধুমাত্র কোভিড -১৯ সম্পর্কিত খবর না শেয়ার করে, অন্য অনেক বিষয় রয়েছে যেটা শেয়ার করা যায়। এই খবর গুলো জানার জন্যে নিউজ চ্যানেলগুলো রয়েছে, আর আমাদের জীবনের অনেক ভালো ভালো দিক আছে যা আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারি। কারণ, এগুলো দেখে মানুষ যদি আরো ডেমোটিভেটেড হয় তখন তাদের মাইন্ড স্টেবিলাইজ করতে অসুবিধা হবে, আর এইমুহূর্তে এটা করা ছাড়া আমাদের দ্বিতীয় কোনো অপসন নেই। এভাবেই বাড়িতে থেকে নিজেকে নিজে এন্টারটেইন করতে হবে।
কলমে - জাগৃতি রায়
কৃতজ্ঞতা - অস্কার বিশ্বাস
২। আপনার প্রিয় অভিনেতা কে?
➧এখনকার সময় অনেকেই আছে যাদের ভালো লাগে। টলিউডে আবীর চ্যাটার্জী, প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীকে ভালো লাগে। বলিউডে রণবীর সিং আর দীপিকা পাড়ুকোনকে ভালো লাগে।
৩। এই লক ডাউনের সময় তো সর্বত্র শ্যুটিং বন্ধ। আপনার যারা ফ্যান আছেন, যারা আপনার কাজ ধারাবাহিকভাবে দেখেন, তাদের জন্য কি বার্তা দিতে চান?
➧আমার একটা কাজ খুব তাড়াতাড়িই আসার কথা ছিল। আশা করি লক ডাউনের পরে সেটা দর্শকেরা দেখতে পাবেন। আর এমনিতেও আমরা শ্যুটিং তাড়াতাড়ি শুরু করবো আশা করি। এখন শুধুমাত্র বাড়িতে থেকে সরকারি গাইডলাইন মেনে চলা আর নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ছাড়া আর কোনো উপায়েই নেই। এই পরিস্থিতিতে আমরা সবাই এতটাই হেল্পলেস।
৪। লক ডাউনে সবাই যখন নিজের নিজের হবি গুলো নিয়ে সময় কাটাচ্ছে, সেখানে আপনার হবির বিষয় কিছু বলুন।
➧সেভাবে বলতে গেলে হবি প্রচুর আছে যেগুলো আমি করতে চাই। যেমন লক ডাউন শুরু হতেই প্রচুর রান্না করছিলাম আর সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ারও করেছি। কিন্তু কিছুদিন পরেই মনে হয়েছে রান্নাটা আর করতে ইচ্ছা করছেনা। আসলে রান্না বা ঘরের কাজের ক্ষেত্রে আমি খুব মুডি, মুড হলে আমি এগুলো করতে পারি নাহলে করিনা। যেহেতু ছোটবেলাতে টানা কয়েকবছর (যদিও খুব কম ) আমি আঁকা শিখেছি তাই ছবি আঁকাও আমার একটা হবি যেটা এইসময় করেছি। এছাড়াও আমার বই পড়তে ভালো লাগে। এরকমও অনেক সময় হয় যখন আমি মেকআপ রুমে বসেও বই পড়ি , এতে নিজের মতো করে একলা কিছুটা সময় কাটানো যায়। তাই রান্না আর ছবি আঁকার সাথে সাথে বই পড়া, সিনেমা দেখা, সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় কাটানোও চলছে।
➧এই ব্যাপারটা আমিও ব্যক্তিগতভাবে ফেস করেছি। লক ডাউন শুরু হওয়ার সময় মনে হয়েছিল যে বেশ কয়েকদিন ছুটি পাওয়া যাবে।কাজের সূত্রে আমরা হয়তো সবাই এটা চেয়েছি যে একটু ব্রেক পাওয়া ভালো হতো। কিন্তু এখন এই ব্রেকটা একটু খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এই মুহূর্তে যেটা সবথেকে প্রয়োজন সেটা হলো মাইন্ড স্টেবিলাইজ করা, কোনোভাবেই ডেমোটিভেটেড না হওয়া। যারা ডেমোটিভেটেড হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, সোশ্যাল মিডিয়াতে শুধুমাত্র কোভিড -১৯ সম্পর্কিত খবর না শেয়ার করে, অন্য অনেক বিষয় রয়েছে যেটা শেয়ার করা যায়। এই খবর গুলো জানার জন্যে নিউজ চ্যানেলগুলো রয়েছে, আর আমাদের জীবনের অনেক ভালো ভালো দিক আছে যা আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারি। কারণ, এগুলো দেখে মানুষ যদি আরো ডেমোটিভেটেড হয় তখন তাদের মাইন্ড স্টেবিলাইজ করতে অসুবিধা হবে, আর এইমুহূর্তে এটা করা ছাড়া আমাদের দ্বিতীয় কোনো অপসন নেই। এভাবেই বাড়িতে থেকে নিজেকে নিজে এন্টারটেইন করতে হবে।
কলমে - জাগৃতি রায়
কৃতজ্ঞতা - অস্কার বিশ্বাস
jay was here 😬
ReplyDeleteThank you for your visit. Keep visiting this place and keep motivating my pen. :)
Delete